যৌবতী পেত্নীর মন (প্রথম পর্ব ) Bangla Bhoter Golpo

যৌবতী পেত্নীর মন (প্রথম পর্ব ) Bangla Bhoter Golpo

লেখাঃ নীল সাগর

আমি কিভাবে পেত্নি হলাম? এখান থেকেই শুরু করা যাক।

তখন আমি খুব ছোট। সবে নবম শ্রেণী শেষ করে দশম শ্রেণীতে উঠেছি। অন্যদের চেয়ে শারীরিক বৃদ্ধি একটু বেশি থাকায় খুব অল্প বয়সেই আমাকে ওড়না পড়তে হতো। ক্লাসের ছেলে গুলো সুযোগ পেলেই আমার শরীরের দিকে তাকিয়ে থাকতো। ডাঁপ ডাঁপ করে তাকিয়ে থাকতো আমার দিকে। আমি ওদের পাত্তাই দিতাম না। সুযোগ পেলে স্যারেরা ও আমাকে কাছে ডাকতো। আমি সব সময় ভয়ে থাকতাম। একদিন ক্লাসে ফারুক স্যার আমাদের প্রাকটিক্যাল ক্লাস নেয়ার সময় আমার হাত ধরে চাপ দিয়েছিল। স্যারের সেদিনের হাত ধরা টা আমার খুব বেশি ভাল লাগে নাই। কিন্তু আমি প্রতিবাদ করতে পারি নাই। কেন পারি নাই তা জানি না, হতে পারে স্যার বেশি সুদর্শন ছিলেন কিম্বা আমি স্যারের প্রতি একটু দুর্বল ছিলাম। কয়েকদিন পরে স্যার আবার ও আমার হাত ধরল। বলল তোমার হাত খুব নরম। সেই থেকে শুরু। আসতে আসতে স্যার আমার আরও কাছে আসতে চাইত। স্যার বিবাহিত কিন্তু তার পরেও কেন আমাকে এতো কাছে ডাকতো আমি বুঝতাম না। একদিন স্যার আমাকে তার কাছে প্রাইভেট পড়ার অফার করলেন। আমি না করতে পারি নাই। আমি সহ আরও ছয় জন স্যারের কাছে পড়তাম। স্যার তার নিজের বাসাতে বিকালে পড়াতেন।আমরা পড়তাম মেঝেতে একটা বিছানা পেতে। প্রথম কিছুদিন স্যার ভালই ছিলেন। একদিন আমি নিচু হয়ে অংক করছি ফিরে দেখি স্যার আমার বুকের দিকে তাকিয়ে আছেন। কেন জানি না আমার খুব বেশি খারাপ লাগে নাই সেদিন। চোখ তুলে স্যার এর চোখের দিকে তাকাতেই তিনি যে হাসিটা দিয়েছিলেন আমি ছোট হলেও সেই হাসির অর্থ বুঝেছিলাম। স্যার এর বাসাতে ওনার বউ আর একটা দুই বছরের ছোট মেয়ে ছিল। স্যার এর বউ আবার অন্তঃসরতা। আট মাস চলছে। গতকাল উনি বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছে, বাচ্চা হউয়ার পরে আবার ফিরবে। আজকের মতো আমাদের পড়া শেষ। কাল শুক্রবার। শুক্রবার আমাদের উনি পড়ান না। সবাই চলে গিয়েছে, আমিও ব্যাগ গুছিয়ে বের হচ্ছি। এমন সময় স্যার বলল রেনু তুই কি রান্না বান্না কিছু শিখেছিস? আমি হাঁ সুচক মাথা নাড়লাম।উনি বললেন কাল সকালে একবার আমার বাসায় এসে একটু রান্না করে দিয়ে যাস তো।আমার কয় জন বন্ধু আসবে, আমি তো রান্না করতে পারি না। ওদের কি খাওয়াব। তুই সকাল বেলা এসে একটু রান্না করে দিয়ে যাস তো দেখব কেমন রান্না করতে শিখেছিস। আমি বললাম আচ্চা আসব, আপনি বাজার করে দিয়েন।

আমি একটু একটু রান্না করতে পারি। কিন্তু স্যার এর বাসায় রান্না করবো ভাবতেই আমার অনেক ভাল লাগলো। সারারাত কিভাবে রান্না করবো সেই চিন্তা করলাম। সকালে মা কে বললাম আমি সায়মার বাসাতে যাচ্ছি, দুপুরে ওখানে খাব। বিকালে একেবারে স্যার এর বাসায় পড়ে সন্ধায় ফিরব। মা না করলেন না।

স্যার এর বাসায় এসে দেখি স্যার এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই। ডেকে ডেকে স্যার কে ঘুম থেকে তুল্লাম। স্যার কেমন যেন টলছিল। মনো হল স্যার রাতে নেশা করে ঘুমিয়েছেন। আমাকে দেখে খুশি হয়ে গেলো উনি। হাত ধরে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসল। কিছু বোঝার আগেই আমাকে নিয়ে গেলো ওনার শোয়ার ঘরে। টান দিয়ে আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে জামা কাপড় খুলে ফেলল। আমি পাথরের মূর্তির মতো পড়ে থাকলাম। তারপর যা করার করলো আমি কেন জানি না প্রথম বার বেশ এঞ্জয় করলাম। কিন্তু এ কি উনি চলে গেলো পাশের রুমে, আসল ওনার বন্ধু। আবার সেই একই কাজ। এক বন্ধু চলে গেলো, আসল আর এক বন্ধু। আমি পাঁচ জনের কথা বলতে পারব।তার পরে আবার যখন দ্বিতীয়বারের মতো স্যার আমার কাছে আসল আমি আর বলতে পারব না। এর পর আমি যা জানি তা হল আমাকে পাশের ডোবা থেকে তোলা হচ্ছে। আমাকে গোসল করানো হচ্ছে, আমাকে কবর দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি চিৎকার দিয়ে বলছি আমি বেঁচে আছি। কিন্তু কেও আমার কথা শুনছে না। আমার শরীর কবর দেয়া হল। আমি সেদিন ই পেত্নি হয়ে আশ্রয় নিলাম স্যার এর বাড়ির পাশের বড় শাঁড়া গাছে।কি আশচার্য আমার লাশ দেখে সবার মতো ঐ স্যার আর তার বন্ধুরাও কাঁদছে।এমন ভাবে কাঁদছে যেন তারা কত নিষ্পাপ।।মনে মনে ঠিক করলাম আজ থেকে আমি আর কোন ভণ্ড স্যার কে ছাড়ব না। এই শাঁড়া গাছ থেকেই শুরু হবে আমার পেত্নি জীবন। ওখানে আরো দু তিন জন পেত্নীর দেখা মিললো তাঁরাও আমার মতো স্যারের শিকার। শুনলাম তাঁদের করুন পেত্নী হওয়ার কাহিনি ।
চলবে......।
যৌবতী পেত্নীর মন (প্রথম পর্ব ) Bangla Bhoter Golpo যৌবতী পেত্নীর মন (প্রথম পর্ব ) Bangla Bhoter Golpo Reviewed by Unknown on September 27, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.